মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।
বীরাঙ্গনা রমা চৌধুরীর জন্ম
১৯৪১ সালের ১৪ অক্টোবর চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানার পোপাদিয়া গ্রামে জন্ম। ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬২ সালে কক্সবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে পূর্ণাঙ্গ কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি মিলিটারিদের হাতে সম্ভ্রম হারান। স্বাধীনতার পর ২০ বছর তিনি লেখ্যবৃত্তিকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন। প্রবন্ধ, উপন্যাস ও কবিতা মিলিয়ে বর্তমানে তিনি নিজের ১৮টি গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: একাত্তরের জননী, ১০০১ দিন যাপনের পদ্য, আগুন রাঙা আগুন ঝরা অশ্রু ভেজা একটি দিন, ভাব বৈচিত্রে রবীন্দ্রনাথ, অপ্রিয় বচন, লাখ টাকা, হীরকাঙ্গুরীয়। ২০১৮ সালে বেগম রোকেয়া পদক (মরণোত্তর) পান।
রবীন্দ্রবিশারদ পুলিনবিহারী সেনের প্রয়াণ
১৯০৮ সালের ১১ আগস্ট অবিভক্ত বাংলার অধুনা বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার ব্রাহ্মপল্লিতে জন্ম। শান্তিনিকেতন থেকে আই.এ, স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে বি. এ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এম.এ পাশ করেন। কর্মজীবন শুরু করেন প্রবাসী পত্রিকায়। শান্তিনিকেতনে ছাত্রাবস্থায় তিনি উপাসনা গৃহে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষণ অনুলিখনে দক্ষতা অর্জন করেছিলেন। সেই অভিজ্ঞতায় পরবর্তীকালে বিশ্বভারতীর গ্রন্থন বিভাগে রবীন্দ্র রচনা সম্পাদনার কাজে সহায়তা করে। বিস্মৃতপ্রায় রবীন্দ্র-রচনার সন্ধানে তিনি বিস্তারিত আকারে বাংলা ও ইংরেজি ‘রবীন্দ্র-রচনা-পঞ্জী’ সংকলনে ব্রতী হন। ‘রবীন্দ্র-রচনাবলী’তে গ্রন্থ পরিচয়, রবীন্দ্র সাহিত্য সম্বন্ধে যে তথ্য বিন্যাসের সূচনা, ‘রবীন্দ্র-রচনা-পঞ্জী’তে তা তিনি বিস্তারিত আকারে বিবৃত করেন। রবীন্দ্রনাথের গ্রন্থ পরিচয়, পাঠ-ভেদ নির্ণয় ছাড়া বহু গ্রন্থ সম্পাদনা করেছেন। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো-
রবীন্দ্র গ্রন্থপঞ্জী, রবীন্দ্রায়ণ (১ম ও ২য় খণ্ড), রবীন্দ্র শতবর্ষপূর্তি উৎসবের সময় রবীন্দ্র প্রসঙ্গে কয়েকটি গ্রন্থ, অবনীন্দ্রনাথ ও গগনেন্দ্রনাথ সংখ্যা ইত্যাদি। রবীন্দ্র পুরস্কার, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সরোজিনী বসু স্বর্ণপদক পেয়েছেন। ১৯৮৪ সালে মারা যান তিনি।
ঘটনা
১৮০৬- ফ্রান্স ও রাশিয়ার মধ্যে ইয়েনার যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
১৮৮২- পাকিস্তানের লাহোরে ভারতীয় উপমহাদেশের চতুর্থ পুরাতন সর্ব্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯২৬- অ্যালেন আলেকজান্ডার মিলনী রচিত জনপ্রিয় শিশুতোষ বই উইননি-দি-পু প্রথম প্রকাশিত হয়।
১৯৫৫- পূর্ববাংলার নাম পরিবর্তন করে পূর্ব পাকিস্তান রাখা হয়।
১৯৭১- মার্কিন নভোযান মেরিনার-৯ প্রথম খুব কাছে থেকে নেওয়া মঙ্গলের ছবি পৃথিবীতে পাঠায়।
২০২০- পৃথিবীকে অতিক্রম করে ২০২০ টিবি-৯ ও ২০২০ এসটি-১ নামের দুটি গ্রহাণু।
জন্ম
১৮৯৩ – লিলিয়ান গিশ, মার্কিন অভিনেত্রী, পরিচালক ও লেখিকা।
১৮৯০- বিংশ শতকের বাঙালি কবি বসন্তকুমার চট্টোপাধ্যায়।
১৯৩০- রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী অশোকতরু বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৯৩০- বাঙালি লেখক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ।
১৯৯১- বাংলাদেশি মডেল এবং অভিনেত্রী, মিস বাংলাদেশ শিরোপাধারী জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া।
মৃত্যু
১৫১৪- পণ্ডিত, কবি ও শিক্ষক ফয়েজি।
১৯৪৩- অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার জিমি ম্যাথুজ।
১৯৫৬- বাঙালি লেখক মহেন্দ্রনাথ দত্ত।
১৯৮৯- কার্টুনিস্ট ও চিত্রশিল্পী শৈল চক্রবর্তী।
দিবস
বিশ্ব মান দিবস