লকডাউনের প্রথম দিনে বরিশালে ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

ডেস্ক রিপোর্ট
দক্ষিণ বাংলা সোমবার, ৫ এপ্রিল, ২০২১

লকডাউনের প্রথম দিনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় বরিশালে ৪৪ ব্যক্তি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। সোমবার (০৫ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরের লঞ্চ ঘাট, সদর রোড, হাসপাতাল রোড, নতুন বাজার, নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড, কাশিপুর বাজার, চৌমাথা বাজার, বটতলা বাজার, জিলা স্কুল মোড়, মেডিকেল মোড়, আমতলার মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান চালানো হয়।

জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জসীম উদ্দীন হায়দারের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাজমূল হুদা, মোঃ আতাউর রাব্বী ও মোঃ মারুফ দস্তগীরের পৃথক তিনটি ভ্রাম্যমান আদালত এ অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযান পরিচালনাকালে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের জন্য জনসাধারণেরকে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করা হয় পাশাপাশি তাদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্য কথা বলেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগন। পাশা্পাশি এসময় সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে অপ্রয়োজনীয় দোকানপাট খোলা রেখে এবং মাস্ক ব্যবহার না করে অযথা বাইরে ঘোরাফেরা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল সূত্রে জানাগেছে, নগরের এই অভিযানে ৬ টি প্রতিষ্ঠান ও ৭ জন ব্যক্তিকে ১১ হাজার ৮৮০ টাকা জরিমানা আদায় করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাজমূল হুদা। পাশাপাশি অন্য একটি অভিযানে ৫ জন ব্যক্তিকে ৩ হাজার ২ শত টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আতাউর রাব্বী। এসময় অন্য একটি মোবাইল কোর্টে ১৩ জন ব্যক্তিকে ২ হাজার ১ শত টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মারুফ দস্তগীর।

অভিযানে বরিশাল র‌্যাব-৮ ও মেট্রোপলিটন পুলিশের দুইটি টিম আইন-শৃংখলা রক্ষায় সহায়তা প্রদান করেন। অপরদিকে আগৈলঝাড়া উপজেলায় নির্বাহী অফিসার মোঃ আবুল হাশেম এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ১১ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ২ ব্যক্তিকে ১০ হাজার ৪ শত টাকা জরিমানা করা হয়।

তবে এসব অভিযানের পরও করেনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত লকডাউন ঢিলেঢালাভাবে চলছে বরিশালে। শহরের প্রধান প্রধান সড়কে অনুমোদন ব্যতিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকান-পাট বন্ধ থাকলেও পাড়া মহল্লায় চায়েরসহ বিভিন্ন ধরণের দোকানপাট খোলা রাখা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অর্ধেক সাটার খুলে এসব দোকানের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

এদিকে বাস-লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকলেও নগরের বিভিন্ন স্থানে রিকসাসহ থ্রি-হুইলার যানবাহন চলতে দেখা গেছে, যাতে স্বাভাবিক দিনের থেকে ভাড়াও দ্বিগুন বেশি রাখা হচ্ছিলো। এককথায় আজ গোটা নগরে থ্রি হুইলারের রাজত্ব ছিলো একচেটিয়া। আর খোলা স্থানে বাজার পরিচালনা করার কথা থাকলেও সেটিও মানছে না কেউ।


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD