কলাপাড়ার ছয়আনি পাড়া গ্রামে জমির ওয়ারিশ সেজে আপত্তি, হয়রানির অভিযোগে জমির মালিকদের

নিউজ ডেস্ক
দক্ষিণ বাংলা মঙ্গলবার, ৬ জুলাই, ২০২১

ভুয়া ওয়ারিশ বানিয়ে আদালতে মামলা ও ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগে ইটবাড়িয়া মৌজার ভূক্তোভুগি পরিবারে সদস্যরা সংবাদ সম্মেলন করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। কবলা সূত্রে জমির মালিকানা দাবি করে বাঙ্গালী ১৫ পরিবারসহ একটি রাখাইন পরিবার এ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগি পরিবারে পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গাজী আব্বাস উদ্দিন বাচ্চু। তিনি লিখিত বক্তব্য জানান, পায়রা বন্দর নির্মানে ছয়আনি পাড়া অধিগ্রহণকৃত জমির মূল মালিক প্রয়াত রাখাইন ফ্রুয়েন মগনী। তার মৃত্যুতে সম্যক জমির মালিকানা দাবি করে জনৈক চিংলামোং আদালতের ডিক্রি পেয়েছেন। বর্তমানে যারা ছয় আনি পাড়ায় বসবাস করছে তারা কেউ জমির মালিক নন। লিখিত বক্তব্যে গাজী আব্বাস উদ্দিন বাচ্চু আরো বলেন, অবকাঠামোসহ বাড়ি ঘরের টাকার দাবি তারা করছেন না। কিন্তু জমির দাবিনামা নিয়ে দামো মগ ভুয়া মালিক হতে চাচ্ছেন ও ভুয়া ওয়ারিশ বানাচ্ছেন বলে তিনি দাবি করেন। এছড়া দামো মগসহ একটি চক্র ইটবাড়িয়া মৌজায় এক শতাংশ জমির মালিক না থাকলেও ভুয়া ওয়ারিশ বানিয়ে ওই মৌজার অনন্ত ১৩/১৪ খতিয়ানে মালিকানা দাবি করে আদালতে মামলা দায়ের এবং অধিগ্রহন শাখায় আভিযোগ দিয়েছেন। তার কারণে বহু লোকের অধিগ্রহণকৃত কোটি কোটি টাকা আটকে আছে অধিগ্রহন শাখায়। বাচ্চু জানান, তারা ক্রয় সূত্রে ছয় আনি পাড়ায় এই পাঁচ একর ৪৫ শতক জমি প্রায় ৬০ বছর আগে ক্রয় করে ভোগদখল করে আসছেন। এস এ ১২৩ খতিয়ানের মালিক ফ্রুয়েন মগনী তার সম্যক ভ‚মি হস্তান্তর করিয়া মারা গেলে জনৈক চিংলামো ওয়ারিশ দাবী করে আদালতে মামলা করেন। বর্তমানে হাইকোর্টে মামলা চলমান রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত রাখাইন ফ্রুয়েন মগনীর ওয়ারিশ ইয়েন মাতুব্বর বলেন, ছয় আনি পাড়ার জমি তাদের ওয়ারিশ সূত্রে মালিক। হাচন গাজী গংদের সাথে পটুয়াখালী জজ আদালতে মামলায় পাড়ার জন্য ৫০ শতক ও ঠাকুর বাড়রি জন্য ২০ শতক জমির ডিগ্রী পান। এতে সংক্ষুব্ধ হয়ে হাইকোর্টে মামলা আপিল করেন।

ছয় আনি পাড়ার চিংদামো,নিশোমং, ইয়াংসি ওরফে লেবেনটু মগ, চুষে মগসহ যারা ওই পাড়ায় বসবাস করেন তাদের এক শতাংশ জমিও নাই । তারা শুধুমাত্র অনুমতিক্রেমে ওখানে থাকতো। তিনি আরো বলেন, আমার বাবা চিংলামো পাড়ায় নারিকেল গাছসহ বিভিন্ন গাছপালা লাগিয়েছেন। এছাড়া চিংদামো নিজে সুবিধা নেয়ার জন্য ভূয়া ওয়ারিশ বানিয়ে বিভিন্ন জমিতে অভিযোগ দেওয়াই তার কাজ বলে তিনি সংবাদ সম্মেলনে জানান।

এব্যাপারে চিংদামো ওরফে দামো রাখাইনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, লুফ্রু এবং ফওচামা আমার নানা-নানী তাদের শুধু ইটবাড়িয়া মৌজার জেএল ৮ ক্ষতিয়ান নং ১৮৯/১৮০ ও ১১৫ অংশে চিংদামো ওরফে দামো গং অপত্তি দিয়েছি। এছাড়া কোন জমিতে আমি ওয়ারিশ সেজে কিংবা কাউকে ওয়ারিশ বানিয়ে কোন অপত্তি দেই নাই।


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD