কোটালীপাড়ায় ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে বিয়ের প্রলোভন

রাতুল হাসান, গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
দক্ষিণ বাংলা বুধবার, ১০ আগস্ট, ২০২২

কোটালীপাড়ায় ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১০ শ্রেণীর ছাত্রী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের দেড় মাস পর্যন্ত লাটিমের মত ঘোরানোর অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ১১নং পিঞ্জুরী ইউনিয়নের পূর্ণবতী গ্রামে। ধর্ষণকারী ওই এলাকার হবি শেখের ছেলে জাকারিয়া শেখ, পেশায় নসিমন চালক।

সরেজমিনে গিয়ে ধর্ষিতা ছাত্রী তার পরিবারের সদস্য নুর-আলম, মুক্তা বেগম ও নজরুল মিয়া সহ এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার হওয়া ছাত্রীর পরিবার দরিদ্র ও দূর্বল হওয়ায় মেয়ে ও নিজেদের সম্মানের কথা ভেবে এলাকাবাসীর প্রস্তাবে বিয়ের চুক্তিতে মামলা তুলে নিতে রাজি হয়েছিলেন। এ দূর্বলতার সুযোগে ধর্ষক জাকারিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদরা তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের সহযোগিতায় চালাকি করে ধর্ষিতা মেয়ে সহ তাদের পরিবারকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে মামলার সত্যতা নাই মর্মে শিকারোক্তি তথা ( লিখিত) দিতে চাপ প্রয়োগ করে। ভিকটিম পরিবার তাদের চালাকি বুঝতে পেরে বিবাহের আগে মামলা না তোলার কথা জানান। ধষর্ণকারীর পরিবারের সদস্যদ (বড় ভাই) ইব্রাহীম শেখ, ( মা) পরি বেগম ও এলাকার কয়েকজন ঘুষখোর প্রকৃতির মাত্বর লুৎফার শেষ, হারুন শেখ ক্ষিপ্ত হয়ে ধর্ষিতার চরিত্র ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে বিভিন্ন অপপ্রচার শুরু করেছে।

এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোটালীপাড়া থানার এস আই খায়েরুল বাশার বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, ধর্ষক পলাতক রয়েছে। ধর্ষনের শিকার হওয়া ছাত্রীর বয়ান নিয়েছি, তাকে মেডিকেল করানো হয়েছে, রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি, মেডিকেল রিপোর্ট হাতে পেলে খুব দ্রুত তম সময়ের মধ্যে আদালতে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করব।

উল্লেখ্য, গত ২৯ জুন (বুধবার) ২০২২ তারিখে সন্ধ্যা ৭ টার সময় ১০ শ্রেনীর ওই ছাত্রী মামা বাড়িতে যাওয়ার সময় মধ্যে পথে ওতপেতে থাকা হবি শেখের ছেলে জাকারিয়া শেখ (২১) ছুরির ভয় দেখিয়ে তাদের পরিত্যাক্ত ফাঁকা ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। ওই স্কুল ছাত্রী বাড়ীতে ফিরে তার মা বাবাকে ঘটনা জানালে ধর্ষিতার পিতা নুর-আলম শেখ প্রথমে এলাকার মাত্বরদের কাছে অভিযোগ করেন। এলাকায় বিচার না পেয়ে কোটালীপাড়া থানায় মামলা করতে জান। কোটালীপাড়া থানা পুলিশ মামলা না নেওয়ায় গত ২১ জুলাই ২০২২ তারিখে গোপালগঞ্জ বিঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ কে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়।


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD