গোপালগঞ্জের আলোচিত সেই স্কুল দপ্তরির নামে ধর্ষণ মামলা

রাতুল হাসান, গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
দক্ষিণ বাংলা শনিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২২

গোপালগঞ্জের আলোচিত সেই স্কুল দপ্তরির নামে  ধর্ষণ মামলা করেছেন ভূক্তভোগী ছাত্রীর পিতা ফারুক শেখ। গত ১৩ নভেম্বর রবিবার গোপালগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্কুল দপ্তরি জুয়েল মোল্লাকে একমাত্র আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এজাহার হিসেবে গণ্য করে কার্যকরি ব্যবস্তা গ্ৰহনের নির্দেশ দিয়েছেন। এতিইমধ্যে গোপালগঞ্জ সদর থানার এস আই জালাল হোসেনর নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস টিম আসামি জুয়েল মোল্লাকে আটকের জন্য অভিযান চালিয়েছে। পাশাপাশি ওই ছাত্রীকে নানা বাড়ি কাজুলিয়া ইউনিয়নের ভোজরগাতী মধ্যপাড়া থেকে উদ্ধার করে মেডিকেল চেকআপের জন্য সিভিলে সার্জন দপ্তরে পাঠিয়েছে।
মামলার বর্ণনা থেকে জানা যায়, আসামি জুয়েল মোল্লা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ১৭ নং কাঠি ইউনিয়নের কে, কে, টি হাজী, এন, সি ইনস্টিটিউশন (কাঠি হাইস্কুল) এর দপ্তরি। বাদী ফারুক শেখের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে ৭ম শ্রেনীর ছাত্রীকে স্কুলে অবস্থান করা কালীন বিভিন্ন সময়ে কুপ্রস্তাব এবং প্রলোভন দিয়ে উত্যক্ত করতো। একপর্যায়ে গত ৩ নভেম্বর স্কুল ছুটির পূর্ব মুহূর্তে ওই ছাত্রী স্কুলের টয়লেটে গেল দপ্তরি জুয়েল মোল্লা প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে জোর পূর্বক ফ্লোরে শুয়াইয়া পরিহিত পোশাক খুলে ধর্ষণ করে। পরে ওই ছাত্রী তার আত্মিয় সজন ও স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের জানায়। স্কুল কমিটি দপ্তরী জুয়েল মোল্লাকে ৩ মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করে।
উল্লেখ্য, গত ১মাস পূর্বে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ১৭নং কাঠি ইউনিয়নের কে, কে, টি হাজী, এন, সি ইনস্টিটিউশন (কাঠি হাইস্কুল) এর দপ্তরির জুয়েল মোল্লার সাথে ওই স্কুলের ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রীর অনৈতিক সম্পর্ক ফাঁস হয়।
ওই ঘটনায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে লজ্জা ও আতঙ্কসহ ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে শিক্ষার্থীরা দপ্তরি জুয়েল মোল্লার চাকুরিচ্যুত ও ওই ছাত্রীকে স্কুল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে  মিছিল করে। একপর্যায়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে দপ্তরি জুয়েল মোল্লাকে সাময়িক বরখাস্ত করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। পাশাপাশি ওই ছাত্রীকে আপাতত স্কুলে আসতে নিষেধ করেন প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার পাল ও স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির অন্যান্য সদস্যরা। পরে জোড়া তালি দিয়ে অনৈতিক ওই ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে দপ্তরী জুয়েল মোল্লার আত্মীয়-স্বজন, পক্ষীও লোকজন, প্রধান শিক্ষক ও  স্কুল ব্যবস্তাপনা কমিটির সভাপতিসহ এলাকার কিছু ঘুষখোর প্রকৃতির মানুষ।


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD