তিন স্ত্রী রেখে দুই সন্তানের জননীকে নিয়ে বৃদ্ধ উধাও

ডেস্ক রিপোর্ট
দক্ষিণ বাংলা বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল, ২০২১
তিন স্ত্রী রেখে দুই সন্তানের জননীকে নিয়ে বৃদ্ধ উধাও

তিন স্ত্রী ও ছেলে মেয়েদের রেখে দুই সন্তানের জননীকে নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়েছেন আবদুর রাজ্জাক বাচ্চু (৬০) নামের রাজশাহীর এক বৃদ্ধ।

এ ঘটনায় ১১ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাগমারা থানায় অপহরণের অভিযোগ দেন ওই নারীর ছেলে (২২)। মানসম্মানের কথা ভেবে বিষয়টি এতদিন চেপে রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু মায়ের হদিস না পেয়ে বুধবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বিষয়টি অবহিত করেন।

অভিযুক্ত আবদুর রাজ্জাক বাচ্চু জেলার বাগমারা উপজেলার হামিরকুৎসা গ্রামের বাসিন্দা। উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের বাগিচাপাড়া জামে মসজিদের ইমাম ছিলেন তিনি। কিন্তু নারী কেলেঙ্কারির কারণে ইমামতি হারান। ইমামতি ছাড়াও এলাকায় কবিরাজি করতেন আবদুর রাজ্জাক বাচ্চু।

স্থানীয়রা জানান, হামিরকুৎসা এলাকার নিজ বাড়িতে দুই ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে তার প্রথম স্ত্রী থাকেন। নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার রামসার কাজীপুরে তার দ্বিতীয় স্ত্রী থাকেন। এই ঘরে দুই মেয়ে ও একটি ছেলে রয়েছে তার। এছাড়া চট্টগ্রামে তাবলিগ জামাতে গিয়ে নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে বিয়ে করতে হয় তাকে। সেই স্ত্রীর অবশ্য কোনো সন্তান নেই।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিরুদ্দেশ হওয়া ওই নারীর স্বামী প্যারালাইসিস রোগী ছিলেন। কবিরাজি চিকিৎসা দিতে নিয়মিত ওই নারীর বাড়িতে যেতেন আবদুর রাজ্জাক বাচ্চু। তিনি ওই নারীকে নিয়মিত কুরআন শিক্ষাও দিতেন। কিছুদিন পর ওই নারীর ছেলেদের সন্দেহ হওয়ায় তাকে (বাচ্চু) বাসায় যেতে নিষেধ করা হয়। এরপরও ওই ইমাম বাড়ির আশপাশে ঘোরাঘুরি করতেন।

গত ১১ এপ্রিল ওই নারী বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। পরে আর বাড়ি ফেরেননি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর জানা যায় আবদুর রাজ্জাক বাচ্চু তাকে নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়েছেন।

ওই নারীর বড় ছেলে ভাষ্য, আবদুর রাজ্জাক বাচ্চু তার মাকে পানি পড়া ও তাবিজ-কবজ করে বশ করেছেন। বাবার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে তার মাকে বাড়ি থেকে ভাগিয়ে নিয়ে গেছে। বাড়ি থেকে তার মা নগদ ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে গেছেন। এই ঘটনায় আবদুর রাজ্জাক বাচ্চুর শাস্তি দাবি করেন তিনি।

গোয়ালকান্দি বাগিচাপাড়া মসজিদের সাবেক সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমাদের মসজিদে ইমাম থাকাকালে বাচ্চু হুজুর অন্য নারীর সঙ্গেও পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে লিপ্ত হন। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ তাকে ইমামতি থেকে অব্যাহতি দেয়।

এ ব্যাপারে আবদুর রাজ্জাক বাচ্চুর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কেউ তার সম্পর্কে কথা বলতে রাজি হননি।

জানতে চাইলে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। এমন অভিযোগ কিংবা জিডি থানায় নথিভুক্ত হয়ে থাকলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD