প্রসূতির ভুল অস্ত্রোপচারে নবজাতকের মৃত্যু

নিউজ ডেস্ক
দক্ষিণ বাংলা বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২২

যশোরের অভয়নগরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে অভিভাবকদের বিনাঅনুমতিতে তহমিনা বেগম নামের এক প্রসূতি মাকে ভুল অস্ত্রোপচার করে নবজাতক হত্যা এবং জরায়ুর নাড়ি কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার নওয়াপাড়া ক্লিনিকপাড়া এলাকায় ফাতেমা (প্রা.) হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্স নামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।পরদিন মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে মৃত নবজাতকের বাবা এসএম সোহাগ হোসেন ওরফে মামুন বাদী হয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ দায়িত্বরত ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। এসএম সোহাগ হোসেন অভয়নগর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বিভাগদী গ্রামের মো. ফিরোজ সরদারের ছেলে।

সোহাগ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, গত ১৯ ডিসেম্বর ভোর ৫টার দিকে আমার স্ত্রী তহমিনা বেগমের হঠাৎ প্রসবযন্ত্রণা শুরু হয়। এ সময় তাকে বাসা থেকে দ্রুত নওয়াপাড়া ক্লিনিকপাড়া এলাকায় ফাতেমা (প্রা.) হাসপাতালে নিয়ে যাই। স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা দেখে হাসপাতালের কর্তব্যরত ম্যানেজার তরিকুল ইসলাম আমার স্ত্রীকে ভর্তি করে দ্রুত তিন ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করতে বলেন। এরপর অনুমতি ছাড়াই তারা আমার স্ত্রীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে অস্ত্রোপচার শুরু করে। কিছু সময় পর ম্যানেজার তরিকুল বলেন রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ, দ্রুত তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। এরই মধ্যে আমরা জানতে পারি যে আমাদের সন্তান মারা গেছে এবং স্ত্রীর অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

সোহাগ হোসেন আরও বলেন, ওদিনই দুপুরেই আমার স্ত্রীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে গাইনি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার স্ত্রীর অবস্থা মুমূর্ষু দেখে আইসিইউতে ভর্তি করেন। পরে সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, ভুল অপারেশনের কারণে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে এবং আমার স্ত্রীর জরায়ুর নাড়ি কেটে ফেলা হয়েছে। আমি ফাতেমা (প্রা.) হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা এবং ম্যানেজার তরিকুল ইসলামের বিচার দাবি করে জেলা সিভিল সার্জন, উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা ও অভয়নগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।

এ ব্যাপারে ফাতেমা (প্রা.) হাসপাতালের ম্যানেজার তরিকুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তহিমনা বেগম নামের রোগী ভর্তির সময় আমি হাসপাতালে ছিলাম না। তবে রোগীকে ওটিতে নেওয়ার পূর্বে বিভাগদী গ্রামের হামিদ সরদারের ছেলে ওয়াশিম অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করেছিলেন। এ ব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দীন বলেন, নবজাতক হত্যার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD