ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বিসিএস ক্যাডার

ডেস্ক রিপোর্ট
দক্ষিণ বাংলা সোমবার, ১৪ জুন, ২০২১
ফারুক আহম্মদ

ছাত্র জীবনে ছাত্রদল করার সুবাদে তত্কালীন জামায়াত বিএনপি ক্ষমতায় থাকা কালীন তারেক রহমানের সহযোগীতায় জালজালিয়াতি করে মৃত বাবাকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগ নিয়েছিল। মাদারীপুরে (সহকারী কমিশনার ভূমি) থাকা কালে ঘুষ বানিজ্য করে গড়েতুলেছিল সম্পদের পাহাড়। অবৈধ্য ভাবে জড়িয়ে ছিল নারীকেলেংকারী ও বহু বিবাহের সঙ্গে । বিসিএস ক্যাডারের ক্ষমতা ও টাকার প্রভাব খাটিয়ে অমুক্তিযোদ্ধা পিতার নামে সড়ক ও গেইট তৈরিসহ নানান অনিয়ম। এমনই এক অভিযোগ পাওয়া গেছে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার পোনা গ্রামের সৈয়দ ফারুক আহম্মদ নামের এক (উপ-সচিব) পদমর্যাদার এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে, তার পিতার নাম মৃত মীর শওকত আলী । জনস্বার্থে মজিবর রহমান মোল্লা নামের এক ব্যাক্তি মাননীয় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী ও গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকটি দপ্তরে এই অভিযোগ দাখিল করে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদন জানিয়েছে।

অভিযোগ পত্রের বন্ননা থেকে জানাযায় (উপসচিব) ফারুক আহম্মদ এর পিতা শওকত আলীর পৈত্রিক বাড়ী ভারতবর্ষে । ১৯৭১ সালের পূর্বে হিন্দু বাড়ী বিনিময় করে এদেশের কাশিয়ানীতে আসে এবং স্থানীয় এক মেয়েকে বিবাহ করে। পরবর্তিতে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যুদ্ধ শুরু হলে মীর শওকাত আলী ও তার পিতা মীর মুছা আলী ভারতবর্ষে চলে যায়। জানাযায় ভারতে মীর শওকতের চাচাদের সাথে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে গন্ডগোল হয় চাচারা শওকত আলী ও পিতা মুছা আলীকে মেরে ফেলে। ১৯৭১ সালের এই মৃত্যুকে পুঁজিকরে নকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধার কাগজপত্র যোগাড় করে তত্কালীন জামায়াত বিএনপি ক্ষমতায় থাকা কালীন ২০০৩ সালে তারেক রহমানের সহযোগীতায় ২২ তম বিসিএস ক্যাডারে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিজেকে অন্তভূক্তি করেন। সেসময় থেকেই তিনি ও তার পরিবার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছেন । বর্তমানে তিনি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) হিসাবে নিয়োজিত আছেন।

এ বিষয়ে কাশিয়ানী উপজেলার পোনা গ্রামে আমাদের প্রতিনিধি সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা পান এবং ঐ এলাকার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের ভিতরে চাপাক্ষোভ বিরাজ করার কথা জানান। পোনা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রসুল জানান ফারুকের বাবা কোন মুক্তিযোদ্ধানন, তিনি তো ভারতে গন্ডগোলে মারা যায়, আমাদের পোনা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের সবাইকে সবাই চিনি। আমরা এই ভূয়া শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামের সড়কের নামকরণ পরিবর্তন ও মুক্তিযোদ্ধার গেজেট থেকে নাম বাতিলের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এসকল অভিযোগের বিষয়ে সৈয়দ ফারুক আহম্মদ (উপ-সচিব) বলেন আমি কখনোই ছাত্রদল করিনী ছাত্রলীগ করেছি, আমার পিতা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। আমার দাদার দান করা যায়গায় এস এ খালেক কলেজ, খালেক সাহেবদের কোন যায়গা কলেজে নাই। এলাকার একটি কুচক্রী মহল আমি ও আমার পরিবারের সম্মান হানি করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিচ্ছে ।

সূত্রঃ দৈনিক-নবচেতনা


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD