মোংলা পৌরসভা নির্বাচনে মাঠে তৎপর আওয়ামীলীগ ধীরগতিতে এগুচ্ছে বিএনপি

মনির হোসেন,মোংলা
দক্ষিণ বাংলা রবিবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২১
মোংলা পৌরসভা নির্বাচনে মাঠে তৎপর আওয়ামীলীগ ধীরগতিতে এগুচ্ছে বিএনপি

দীর্ঘ ১০ বছর পর আগামী ১৬ জানুয়ারী মোংলা পোর্ট পৌরসভার নির্বাচনকে ঘিরে শুরু হয়েছে প্রচার প্রচারণা। ওয়ার্ড -ওয়ার্ডে শুরু হয়েছে ভোটের হাওয়া। করোনাজনিত পরিস্থিতিতেও এ নির্বাচন নিয়ে ঝড় উঠেছে চায়ের টেবিলে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। মেয়র ও কাউন্সিলর পদে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থীদের প্রস্তুতি অনেকটাই একচেটিয়া। আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থীদের জন্য ভোট চাইতে দলীয় কার্যালয়সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কর্মীসভা ও মতবিনিময় সভায় নিয়মিতভাবে উপস্থিত থাকছেন বাগেরহাট- ৩ আসনের সাবেক সাংসদ ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক। ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোংলা পৌরসভার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় করেছেন তিনি। এবারের পৌরসভা নির্বাচনে তৃনমূল নেতা কর্মীদের মতামত নিয়ে কেসিসি মেয়র তালুকদার খালেক একজন মেয়র, ৯ জন সাধারন কাউন্সিলর ও ৩ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরকে মনোনয়ন দিয়েছেন। দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদেরও সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, নৌকার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলে আওয়ামীলীগে আর ঠাঁই হবেনা।

অন্যদিকে বিএনপিসহ অন্য দলগুলোর মধ্যে পৌর নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ থাকলেও মাঠে তেমন তৎপর দেখা যাচ্ছেনা তবে গত ৩০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর পরই বিএনপি- জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা তাদের প্রতীক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেকটা ধীর গতিতেই চলছে তাদের নির্বাচনী কার্যক্রম। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আবারো মেয়র কাউন্সিলর পদে বিএনপি সমর্থিতরা জয়ী হবেন এমনটাই দাবি করেছেন স্থানীয় বিএনপির একটি দায়িত্বশীল সূত্র। বিগত ১০ বছরে বর্তমান মেয়রের আমলে পৌরসভার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে ।

এ কার্যক্রমকে সামনে রেখে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি।
এবারের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন পৌর আ.লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান পৌর মেয়র ও পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মো. জুলফিকার আলী। ২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি মনোনিত প্রার্থীদের কাছে পরাজিত হন আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থীরা। তবে ১ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হাবিবুর রহমান ও ১,২ ও ৩ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নির্বাচিত হন জাহানারা হোসেন চানু।

বাকী সবগুলো ওয়ার্ডে নির্বাচিত হন বিএনপি- জামায়াত পন্থীরা। এবিষয়ে আওয়ামীলীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির এক নেতা জানান, ২০১১ সালের দলের অভ্যন্তরীন কোন্দলের কারনে মেয়র পদসহ সবগুলো ওয়ার্ডেই হেরে যায় আওয়ামীলীগ। তিনি আরো বলেন, ২০১১ সালে আ.লীগ সরকারে থাকলেও মোংলা পৌর এলাকায় বিএনপির ভোটার সংখ্যা ছিল তুলনামূলক বেশি। তবে এবারের পরিস্থিতি আমাদের অনুকূলেই আছে। পুরো নির্বাচনী কার্যক্রম তদারকি করছেন আমাদের অভিভাবক কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার।

কারন ২০১১ সাল আর ২০২০ সাল এক নয়। এছাড়াও বর্তমান পৌর মেয়র জুলফিকার আলীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে পৌর নির্বাচন আটকে রাখাসহ ১০ বছরে পৌরসভায় ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ করেন আ.লীগ নেতারা।
মোংলা পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা- ৩১ হাজার ৫২৮। মোট পুরুষ ভোটার- ১৬ হাজার ৬৮১, মোট নারী ভোটার ১৪ হাজার ৮৪৭।


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD