মোংলা বন্দরে ১১ বছরে এক লাখ ১৯ হাজার গাড়ি আমদানি

মনির হোসেন, মোংলা
দক্ষিণ বাংলা রবিবার, ২৩ মে, ২০২১
মোংলা বন্দরে ১১ বছরে এক লাখ ১৯ হাজার গাড়ি আমদানি

মনির হোসেন,মোংলাঃ
দেশে মোট আমদানির শতকরা ৬০ ভাগ রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি করা হয় মোংলা বন্দর দিয়ে। একই সাথে এ বন্দরকে কর্মচাঞ্চল্য রাখতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছেন গাড়ি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। এক সময়ের লোকসানী প্রতিষ্ঠান মোংলা বন্দর ধীরে ধীরে লাভের মুখ দেখতে থাকে মুলত রিকন্ডিশন্ড গাড়ি খালাস করে।

২০০৯ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃতাধীন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পরে ওই বছরের জুন মাস থেকে মোংলা বন্দরে নিয়মিত গাড়ির জাহাজ আসতে থাকে। আর তখন থেকেই বন্দরের আমদানি বাণিজ্যে রচিত হয় এক নতুন অধ্যায়।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে,
২০০৯ -১০ অর্থবছরে মোংলা বন্দরে মোট গাড়ি আমদানি করা হয় ৩ হাজার ১১৯ টি,
২০১০ -১১ অর্থবছরে ৯ হাজার ৯২৫টি, ২০১১-১২ অর্থ বছরে ৮ হাজার ৯৮৯টি, ২০১২ -১৩ অর্থবছরে ৪ হাজার ১২১টি,
২০১৩ -১৪ অর্থবছরে ৮ হাজার ৪৩৮টি, ২০১৪ -১৫ অর্থবছরে ১১ হাজার ২১৮টি,
২০১৫- ১৬ অর্থবছরে ১৪ হাজার ৯৬৯টি,
২০১৬ -১৭ অর্থবছরে ১৫ হাজার ৯০৭ টি,
২০১৭- ১৮ অর্থবছরে ১৭ হাজার ২৯৫ টি,
২০১৮ – ২০১৯ অর্থবছরে ১২ হাজার ৬৯৫ টি, ২০১৯ – ২০ অর্থবছরে ১২ হাজার ২৯৩ টি। সবমিলিয়ে গত ১১ বছরে এ বন্দরে মোট ১ লাখ ১৮ হাজার ৯৬৯টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি করা হয়।

বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা প্রধান জহিরুল হক দক্ষিণ বাংলা ডটকমক’কে জানান, মোংলা বন্দরের অবকাঠামো উন্নতির কারনে গাড়ি আমদানি বেড়েছে। দেশের মোট আমদানি ৬০ ভাগ গাড়ি এ বন্দর দিয়েই খালাস হয়। আপগ্রেডেশন অব মোংলা পোর্ট প্রকল্পের আওতায় ২০২৪ সালে একটি বহুতল কার ইয়ার্ড নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরো জানান, আমদানিকৃত গাড়ি পরিকল্পিত উপায়ে সংরক্ষণ ও বিতরণের জন্য বন্দর চ্যানেলের জয়মনির গোলে দুটি আধুনিক গাড়ি ইয়ার্ড নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে যা ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।

গাড়ি আমদানিকারকদের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স এন্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা) সভাপতি আব্দুল হক
দক্ষিণ বাংলা ডটকম’কে
জানান, মোংলা বন্দর ছিল মুলত একটি পরিত্যক্ত বন্দর। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আলোচনা করে ২০০৯ সালে সর্বপ্রথম এ বন্দর দিয়ে আমরা গাড়ি আমদানি শুরু করি এবং ধারাবাহিকভাবে গাড়ির জাহাজ আসতে থাকায় বন্দরে কর্মচাঞ্চল ফিরে আসে। তিনি আরো বলেন, গাড়ি আমদানিকারকদের সুবিধার্থে বন্দর কর্তৃপক্ষকে কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছি। আশা করছি বন্দর কর্তৃপক্ষ অচিরেই আমাদের প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করবে।

জানতে চাইলে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা দক্ষিণ বাংলা ডটকমকে বলেন, গাড়ি আমদানিকারকদের কারনেই মোংলা বন্দর যথেষ্ট গতিশীল হয়েছে এবং রাজস্ব আয় বেড়েছে। আর এজন্য গাড়ি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
এছাড়াও গাড়ি আমদানিকারকদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে বন্দরের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান বন্দরের এই কর্মকর্তা।


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD