রংপুরে এসিল্যান্ড কর্তৃক নারী সাংবাদিক লাঞ্ছিত

শাহীন মুন্সী, স্টাফ রিপোর্টারঃ
দক্ষিণ বাংলা বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

রংপুরে সহকারী কমিশনার ভূমি কর্তৃক শরিফা বেগম (শিউলী) নামের এক নারী সাংবাদিক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রংপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন কর্তৃক লাঞ্ছিত হওয়া ওই নারী সাংবাদিক রংপুর বিভাগীয় রিপোর্টার্স ইউনিটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক। এছাড়াও শরিফা বেগম (শিউলি) দীর্ঘদিন ধরে রংপুরের স্থানীয় দৈনিক প্রথম খবর ও ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক নবচেতনা পত্রিকার রংপুর জেলা প্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এঘটনায় ২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে রংপুর বিভাগীয় রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষথেকে জেলা প্রশাসক বরাবর বিচার চেয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোঃ আসিব আহসান বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
সাংবাদিক শরিফা বেগম দক্ষিণ বাংলা ডটকম কে জানান, গত ১৯ মে ২২ তারিখে আমার ক্রয়কৃত জমির নামজারির জন্য অনলাইনে আবেদন করি, আবেদনের প্রেক্ষিতে তিনি মোবাইল ফোনে এসএমএস পান। এর পর রংপুর সদর ভূমি অফিসে নামজারির কাজ সম্পাদন করার জন্য জমির মূল কাগজপত্র নিয়ে ভূমি অফিসে যাই, কর্মকর্তা অফিসে না থাকায় পরবর্তী তারিখ ধার্য করে দেয় সহকারীরা। পরবর্তী তারিখে যথারীতি সকল কাগজপত্র নিয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিনকে দেওয়া হয়। কমিশনার কাগজপত্র নিয়ে তার টেবিলে ফেলে রাখে, ধারাবাহিক ভাবে আমার কাগজ না দেখে অন্যদের কাগজপত্র দেখতে থাকেন। এভাবে আমাকে অনেক সময় দাড় করিয়ে রাখেন। দীর্য সময় এমন করার একপর্যায়ে আমি সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কাগজ দেখতে অনুরোধ করি। তাৎক্ষনিক তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আপনি কিসের সাংবাদিক? চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকেন, ৬ মাস পর আপনার আবেদনের শুনানি হবে। এসময় আমার সহকর্মী সাংবাদিক রবিন চৌধুরী ও  রাসেলসহ উপস্থিত সকলের সামনে অযৌক্তিক ও অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে আমাকে রুম থেকে বের করে দেয়। একজন সরকারি কর্মকর্তার এমন দুর্ব্যবহারে আমি ব্যথিত ও মর্মাহত হয়েছি। যে কার্যালয়ে একজন সংবাদকর্মীর সাথে এমন দুর্ব্যবহার করা হয় সেখানে সাধারণ মানুষের কি অবস্থা হতে পারে।
রংপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি রহমতুল্লাহ অপু বলেন, সহকারী কমিশনার ভূমি জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন এর অনৈতিক আচরণের বিষয়ে সংগঠনে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।  একজন সরকারি কর্মকর্তার এরকম
ন্যাক্কারজনক আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। তাই আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি।
এসকল অভিযোগের বিষয়ে জানতে সহকারী কমিশনার (ভূমি)জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিনের মোবাইল ফোনে বার বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD