সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে চারটি পৃথক কমিটি গঠন

মনির হোসেন, মোংলা
দক্ষিণ বাংলা বৃহস্পতিবার, ২৭ মে, ২০২১
সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে চারটি পৃথক কমিটি গঠন

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে সুন্দরবনের পূর্ব বনবিভাগের ১৯টি জেটি বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৯টি পুকুর, ১০ অফিস, ২৪টি পাটাতনের রাস্তা ও ছয়টি জলযান। ভেঙে গেছে দুটি টাওয়ার। সুন্দরবনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নির্ধারণে চারটি পৃথক কমিটি গঠন করেছে বন বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সকালে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বনের দুর্গম এলাকায় সবার সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। প্রাথমিকভাবে এ তথ্যগুলো পাওয়া গেছে। কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নির্ধারণে চারটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বেলায়েত হোসেন বলেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার অন্তর্গত বন বিভাগের চারটি রেঞ্জ এলাকা। যার দুটি বাগেরহাটে অবস্থিত। এরইমধ্যে সুন্দরবনের পূর্ব বন বিভাগের অন্তর্গত শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ শুরু করেছেন কমিটির কর্মকর্তারা।
তিনি আরও জানান, সুন্দরবনের খুলনা জেলার নলিয়ান ও সাতক্ষীরা জেলার বুড়িগোয়ালিনী রেঞ্জেও একইভাবে সেখানখার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলীয় ৯টি জেলার ২৭টি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপকূলীয় ২৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। ১৪টি জেলায় বেড়িবাঁধ ও বিভিন্ন স্থাপনায় জোয়ারের পানি ঢুকেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধের ক্ষয়ক্ষতি কাটাতে কাজ করছে।


আরো নিউজ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD